Tuesday, July 18, 2017

মান্দার/পারিজাত/Erythrina variegata



মান্দার/পারিজাত
ইংরেজি নামঃ Erythrina variegata

মান্দার গাছের রক্ত রাঙ্গা ফুল অনেক ফুল প্রেমিকের কাছেই অনেক প্রিয়।তবে বিলুপ্ত প্রায় মান্দার গাছের ফুল অথবা এই গাছ অনেকের কাছেই অচেনা।এছাড়া কাঁটাওয়ালা গাছ হিসেবেও এর পরিচিতি রয়েছে।



মান্দার এর আদি নিবাস মালয় ও শ্রীলঙ্কার উপকূলীয় অঞ্চলে!উত্তরাঞ্চলীয় আফ্রিকার দেশসমূহ, ভারতীয় উপমহাদেশ, অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চল, ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জসহ প্রশান্ত মহাসাগর তীরবর্তী পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা থেকে শুরু করে ফিজির পূর্বাংশে মান্দার বা পারিজাতের দেখা মেলে
উষ্ণমণ্ডলীয় এবং নাতিশীতোষ্ণমণ্ডলীয় উভয় পরিবেশেই এ বৃক্ষটি জন্মে।


কাঁটাবিশিষ্ট গাছ হিসেবে এটি ২৭ মি (৮৯ ফু) পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এর শাখাগুলো ধূসর রঙের। পাতা পালকের ন্যায় খুবই পাতলা এবং ২০ সেন্টিমিটার লম্বা ও ত্রিভূজাকৃতিবিশিষ্ট প্রশস্ত হতে পারে। শীতের শুরুতে পাতাগুলো ঝরে পড়ে এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এই গাছ পাতা শূন্য হয়।মে-জুন মাসে গাছে পুনরায় নতুন পাতা গজায়। পাতা ঝরে পড়ার পর ফুলের আবির্ভাব ঘটে। গন্ধবিহীন ফুলগুলো গাঢ় লাল কিংবা উজ্জ্বল লোহিত বর্ণের ১৫ সেন্টিমিটার লম্বাটে।উজ্জ্বল লাল বর্ণের কারনে মান্দার ফুল মানুষের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয়।ফুল ফোটা শেষে গাছে ফল আসে।ফল প্রথম অবস্থাতে সবুজ বর্ণের হলেও পাকা অবস্থায় কালচে রং ধারন করে ফলের ভিতরে বীজ থাকে বীজ ঘন বাদামী কিংবা কালচে রঙের হয়।বীজদণ্ডটি ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা ও ২.৫ সেন্টিমিটার প্রশস্ত হয়।ফলগুলো কয়েক মাস পর্যন্ত গাছে ঝুলে থাকতে পারে। প্রতিটি ফল থেকে ১০ থেকে ১২ টি বীজ পাওয়া যায়।

মান্দার গাছ ও ফলের বহুবিধ ভেষজ গুন রয়েছে।হিন্দু ধর্মের পুরাণে মান্দার ফুলকে তাদের দেবী ইন্দিরার প্রতিক হিসেবে গননা করা হয় এ সম্পর্কিত কিছু তথ্য/মিথ বা গল্প প্রচলিত রয়েছে।
এতে উল্লিখিত সমুদ্রমন্থনের কাহিনি অনেকেরই জানা রয়েছে।
অমৃতের সন্ধানে দেবতা ও অসুররা মন্দার পর্বতকে মন্থনদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করে সমুদ্র থেকে তুলে এনেছিলেন একের পরে এক আশ্চর্য সব বস্তু। সেই মন্থনে উদ্ভাসিত হয়েছিলেন লক্ষ্মী দেবী, ঐরাবত হস্তী, উচ্চৈশ্রবা অশ্ব, অপ্সরাকুল, কামধেনু, চন্দ্র ইত্যাদি এবং অবশ্যই হলাহল বিষ ও অমৃত। এ সব ছাড়াও সেই মন্থনে উঠে এসেছিল এক আশ্চর্য বৃক্ষ, যার নাম মান্দার বা পারিজাত। পরবর্তী কালে স্বর্গের বর্ণনায় বার বার পুরাণে উল্লিখিত হয়েছে মান্দার বা পারিজাতের নাম। ইন্দ্রের নন্দন কাননে প্রধান গাছটিই হল মান্দার বা পারিজাত, এমন কথা হিন্দু পুরাণে গভীর বিশ্বাসের সঙ্গে উল্লিখিত। হরিবংশ পুরাণ’-এ উল্লিখিত রয়েছে, মান্দার বা পারিজাত একটিকল্পতরু এর কাছে যা প্রার্থনা করা যায়, তা-ই নাকি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে এ কথাও বলা হয়েছে, বেশিরভাগ মান্দার/পারিজাত স্বর্গে থাকলেও মর্ত্যভূমে একটি মাত্র গাছ নাকি রয়ে গিয়েছে।

পুরাণে যাই থাকুক আমাদের ফুল প্রেমীদের কাছে পারিজাত বা মান্দার ভালবাসার রঙ্গে রঙ্গিন একটি ফুলই যাতে বিমোহিত হয় মন।পাখিদের কাছেও এই গাছ ও ফুল ভালবাসার ভিত্তি।

Saturday, March 11, 2017

দোলনচাঁপা/White garland-lily/White ginger lily



দোলনচাঁপা
White garland-lily/White ginger lily

দোলনচাঁপা বাংলাদেশের একটি সকলের পরিচিত ও জনপ্রিয় ফুল,সুগন্ধির জন্যও এই ফুলের অনেক সুনাম।এর আদি নিবাস দক্ষিন পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে, এটি কিউবার জাতীয় ফুল স্পেনীয় উপনবেশ আমলে নারীরা এই ফুলের মধ্যে গোপন বার্তা লুকিয়ে আদান প্রদান করতেন

দোলন চাঁপা গুল্ম ও কন্দ জাতীয় বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদ।এই গাছ দেখতে কিছুটা সর্বজয়া/কলাবতীর মত।প্রায় চল্লিশ টি প্রজাতির বিভিন্ন বর্ণের ও গন্ধের দোলন চাঁপা পাওয়া যায়।এদের মধ্যে জনপ্রিয় জাতগুলো হচ্ছে কোরোলোরয়াম,কক্সিনিয়াম,এলিস্তিকাম,গ্রাসিলি,ফ্লেবাম গাউনারিয়া ইত্যাদি।

বর্ষা ঋতুতে দোলনচাঁপা গাছে ফুল ফোটে।দিনের শেষে দোলনচাঁপা ফুটতে শুরু করে এবং রাত জত গভীর হয় এর গন্ধ ও তত বাড়তে থাকে।দিনের আলোতে এই ফুল আস্তে আস্তে শুকিয়ে যায়।

সৌখিন ফুল প্রেমিরা টবে অথবা লনে দোলন চাঁপা লাগাতে পারেন এই ফুল আপনার মনকে অবশ্যই প্রশান্তি দিবে!!

Monday, December 28, 2015

অপরাজিতা/Clitoria ternatea Linn



অপরাজিতা
(Clitoria ternatea Linn)

Butterfly pea, blue pea, Cordofan pea and Asian pigeon wings
অপরিজিতা বহুবর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ।আদিনিবাস মালাক্কা উপসাগরীয় অঞ্চলের টিনাট (Tenatc) দ্বীপে।উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা সর্ব প্রথম এই দ্বীপ থেকে ফুলটি সংগ্রহ করেন।ফুলের আকৃতি এবং এই দ্বীপের নামের সমন্বয়ে ফুলটির নামকরন করাহয় Clitoria ternatea । লম্বায় ১৫-২০ ফুট হয়ে থাকে এই লতানো গাছ।ফুলের রং নীলাভ বেগুনি,গাঢ় নীল,ফিকে নীল,সাদা ইত্যাদি বর্ণের হয়ে থাকে। ফুল সিঙ্গেল আবার একটি জাতে ডাবল ফুল হয়ে থাকে।ফুল আকারে বড়,আকৃতি অনেকটা মটরশুঁটি ও বক ফুলের অনুরূপ।এই ফুলের কোন গন্ধ নাই।গাছের পাতাভর্তি লতার ফাঁকে ফাঁকে নয়নাভিরাম অপরাজিতা ফুল ফুটতে দেখাযায়।তবে অপরাজিতা কখনো গুচ্ছ আকারে আকারে থোকায় থোকায় ফুটে না।

সাধারনত হিন্দু ধরমালম্বিরাই তাদের ধর্মীয় পূজাতে এই ফুল অধিক ব্যবহার করে থাকে। অপরাজিতার ঔষধি উদ্ভিদ  হিসেবেও বিভিন্ন রোগে ব্যবহার হয়েথাকে।
গ্রামের বাড়ির সদর দরজার ঝারে অথবা শহরের বারন্দার শোভা বর্ধনে ব্যাবহার করতে পারেন লতানো নয়নাভিরাম অপরাজিতা। 

FLOWERS OF BANGLADESH

footer logo

সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা এই বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফোটে বিভিন্ন রং ও বৈচিত্রের ফুল এসকল ফুলের সাথে পরিচিত হতে আমাদের সঙ্গে থাকুন
 

Blogger news

Blogroll

About